অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন কোন আম খেতে ভালো? দেখতে ও সাইজেও খুব ভালো ? তাদের বলবো গাছে ভালোভাবে পরিপক্ক হলে সব জাতের আমই খেতে মিষ্টি কিন্তু নাগ ফজলি আম এক অনন্য স্বাদের আম । নাগ ফজলি সব জায়গায় চাষ করাও হয় না। নওগাঁতেই স্পেশালী এইটা চাষাবাদ করা হয় আর রয়েছে স্পেশাল ফ্লেভার। আশা করি একবার খেলে আবার নিতে চাইবেন।
একটি নাক ফজলী আমের ওজন ৩শত থেকে ৪শত গ্রাম পর্যন্ত। পাতলা চামড়া এবং সরু বিচি যা অন্যান্য আমের চেয়ে আলাদা। মিষ্টতার দিক দিয়ে ন্যাংড়া ও আম্রপালি আমের সমতুল্য। এ আমে কোন আইশ না থাকায় খেতে খুবই সুস্বাদু। আম পাকার পরও শক্তভাব থাকায় সহজেই বাজারজাত করা সম্ভব।
রোগবালাই কম থাকায় এ আম চাষ করা সহজ ও লাভজনক। যারা একবার এ আমের স্বাদ গ্রহণ করেছে পরবর্তীতে আবারও সংগ্রহের জন্য কৃষকদের নিকট ধরনা দিচ্ছেন। এ জেলার বাইরে এ আমের তেমন কোন পরিচিতি না থাকায় দেশবাসী এর স্বাদ গ্রহণ করতে পারছে না। বর্তমানে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এ আমের চাহিদা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নওগাঁর ধামইরহাটে আমের আড়ৎগুলো থেকে এ আম ব্যাপক পরিমাণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
নাক ফজলি আমের সাধারণত নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো পাওয়া যায়
- নাক ফজলি আমের নিচের অংশ নাকের মত চ্যাপ্টা-লম্বা।
- এই জাতের আম আকৃতিতে লম্বায় প্রায় চার ইঞ্চি আর চওড়ায় দেড় ইঞ্চি হয়ে থাকে।
- আমের চামড়া পাতলা ও বীচি সরু।
- প্রত্যেকটি আমের ওজন সাধারণত ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।
- মিষ্টতার দিক দিয়ে এই জাতের আম ল্যাংড়া ও আম্রপালি আমের সমতুল্য মানের।
- এই আম ফজলি আমের তুলনায় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ দিন আগে পাকে।
- নাক ফজলি আমে কোনো আঁশ থাকে না, খেতে সুস্বাদু।
- নাক ফজলি আম পাকার পরও শক্তভাব বজায় থাকে, ফলে বাজারজাত করা সুবিধাজনক।

0 comments:
Post a Comment